শিববাড়ি এলাকায় অভিযান চলছে

প্রকাশঃ মার্চ ২৫, ২০১৭ সময়ঃ ৬:০১ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৯:২৫ অপরাহ্ণ

৩০ ঘণ্টা ঘিরে রাখার পর সেনাবাহিনীর চূড়ান্ত অভিযানে ঘণ্টাদুয়েক বিরতি দিয়ে আবারও সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শিববাড়ি এলাকায় সন্দেহভাজন জঙ্গি আস্তানাকে কেন্দ্র করে অনবরত গুলি ও বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যাচ্ছে।

ঐ দুটি ভবনে শনিবার সকাল ৯টায় সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ব্যাটালিয়ন অভিযান শুরু করে।

এলাকাটি ঘিরে রাখা হয়েছে। চূড়ান্ত অভিযান শুরুর আগে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপস্থিত সংবাদকর্মীসহ সবাইকে এক কিলোমিটার দূরে সরে যেতে বলা হয়।

দুপুর ২টার আগ পর্যন্ত দুই বার গুলির শব্দ পাওয়া গেলেও এরপর মুহুর্মুহু গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। দুইটার দিকে দুটি বোমা বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এরপর পৌনে এক ঘণ্টায় অন্তত ছয়বার বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়।

বিকট শব্দ শুনে বাইরে অবস্থানরত পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, এগুলো গ্রেনেড হতে পারে। বেলা আড়াইটার দিকে তিনজন সেনা সদস্যকে আহত অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যেতে দেখা যায়। বেলা ২টায় গুলি-বোমার আওয়াজ শোনার আগে একটি অ্যাম্বুলেন্সকে পুলিশ বেষ্টনি অতিক্রম করে ভেতরে ঢোকানো হয়। এরপর থেমে থেমে গুলির শব্দ পাওয়া যাচ্ছিল। ঘণ্টা দুয়েক বিরতি দিয়ে বিকাল ৫টায় আবার দুটি বোমার শব্দ পাওয়া যায়। এরপর শুরু হয়েছে মুহুর্মুহু গুলি।

দুপুর ১২টা পর্যন্ত অর্ধ শতাধিক ব্যক্তিকে বের করে আনা হয় ভেতর থেকে, যারা বৃহস্পতিবার থেকে সেখানে আটকা পড়েন। দুপুর ২টার আগে মোট ৭৬ জনকে বের করে আনা হয়। তাদের কাছের একটি ভবনে জড়ো করে রাখা হয়েছে। ঐ দুই বাড়ির মধ্যে পাঁচতলা ভবনটিতে ৩০টি ফ্ল্যাটে সমান সংখ্যক পরিবারের বসবাস। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের মধ্যে বাকি পরিবারগুলো কার্যত জিম্মি হয়ে পড়েন। ভেতরের অবস্থা বিষয়ে আর কিছু জানা যায়নি। সেনাবাহিনী কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারাও সাংবাদিকদের কিছু বলেননি।

টান টান উত্তেজনার মধ্যে একটি দিন ও একটি রাত পার করে চূড়ান্ত অভিযান শুরুর আগে শনিবার সকালে বন্ধ করে দেওয়া হয় বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ। ফায়ার ব্রিগেডের দুটি গাড়ি রাতেই ঘটনাস্থলে এনে রাখা হয়েছিল। সকালে সাঁজোয়া যান ও অ্যাম্বুলেন্স দেখা যায়। অভিযানের খবর সরাসরি সম্প্রচার না করতে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে সংবাদ মাধ্যমকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। সেনাবাহিনী এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন টোয়াইলাইট’; এর আগে ঘটনাস্থলে কাজ করে আসা সোয়াট এই অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন স্প্রিং রেইন’। বৃষ্টির মধ্যে বাড়ি দুটি ঘিরে চূড়ান্ত অভিযান শুরুর আধা ঘণ্টা পর সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “সেনাবাহিনী এই অভিযান চালাচ্ছে। সোয়াট শুধু সহায়তা করছে।”

 

প্রতিক্ষণ/এডি/রাহা

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

April 2024
S S M T W T F
 12345
6789101112
13141516171819
20212223242526
27282930  
20G